আজ শুক্রবার, ছুটির সকালেও দেশজুড়ে ঘন কুয়াশার চাদর গা ছড়িয়ে রয়েছে। রাজধানীর আকাশ আজও গতকালের মতো কুয়াশায় আচ্ছন্ন। সূর্যের দেখা মেলেনি, ফলে শীতের কামড় আরও তীব্র হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের অন্তত ছয়টি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা জনজীবনে বাড়তি কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সারা দিন কুয়াশার দাপট কমার সম্ভাবনা খুবই কম। গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার প্রভাব বাড়তে শুরু করে। এর সঙ্গে তাপমাত্রার পতন ঘটায় শীতের প্রকোপও বেড়ে চলেছে। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় গতকাল থেকে কুয়াশা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
রাজধানী ঢাকায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালের সমান। তবে গতকাল থেকে রোদের অভাবে শীতের অনুভূতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।
দেশের উত্তর জনপদে গতকাল এমন ঘন কুয়াশা পড়ে যে দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়েছে। রাজধানী ঢাকায়ও সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি, আর এর ফলে শীতের অনুভূতি বহুগুণ বেড়ে গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, রাজধানীতে আজও সূর্যের মুখ দেখার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আশার কথা হলো, আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘন কুয়াশার মধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। উত্তরের জনপদ তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরেক উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তাপমাত্রা নেমেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য শৈত্যপ্রবাহপ্রবণ এলাকায় তাপমাত্রার অবস্থা হলো:
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহ জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে দেশের বেশ কিছু স্থানে এই অবস্থাই বিরাজ করছে।
Leave a Reply